খুলনায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ। প্রথম দিন কঠোরভাবে পালিত হলেও আজ সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। যদিও মানুষের চলাচল ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে এগুলো বাঁধা হয়েছে।
ডাকবাংলা ও পিকচার প্যালেস মোড়ের অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মালিক ও কর্মচারিদের দাড়িয়ে ক্রেতাদের বিভিন্ন ইশারা ও ইঙ্গিতে ডাকতে দেখা গেছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখলে যে যার মতো সটকে পড়ছে।
সকাল সোয়া ১১ টার দিকে নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে অর্ধেক সার্টার নামিয়ে কিছু দোকান খোলা দেখা গেছে। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ী দেখে দ্রুত দোকান বন্ধ করে চলে যান ব্যবসায়ীরা।
শিববাড়ি মোড়ের চিত্র ছিল গতকাল থেকে ভিন্ন। সেখানে আজ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশ। অপ্রয়োজনে অনেকে রাস্তায় বের হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। খুলনার সাথে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া খুমেক পিসিআর মেশিনে ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ২৭ জন, যশোরে সাতজন, সাতক্ষীরায় একজন, পিরোজপুরের তিনজন, গোপালগঞ্জের একজন ও চুয়াডাঙ্গা জেলার একজন রয়েছেন। খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় শনাক্তের হার প্রায় ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
খুলনা গেজেট/এনএম