করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১২ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান তারা।
এদের মধ্যে ছয়জন করোনায়, পাঁচজন করোনার উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনামুক্ত হয়ে মারা গেছেন। এই ১২ জনের মধ্যে পাঁজজনেরই বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নওগাঁর তিনজন, নাটোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারজন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। দুজন করে মারা গেছেন ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ১, ১৫ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই এক দিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ছয়জন। এদের মধ্যে তিনজন করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, একজন নাটোর ও একজন নওগাঁর বাসিন্দা।
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এদের মধ্যে রাজশাহীর দুজন, নওগাঁর একজন এবং নাটোরের একজন রয়েছে। করোনামুক্ত হয়ে মারা যাওয়া একমাত্র রোগীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৪৯ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫৮ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৫৯ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৩২ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। এই একদিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ৫১ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৭ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৮৫ ও রামেক ল্যাবে ১৩৫ জনের নুমানায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীতে সবেচেয়ে বেশি ৪৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০, নওগাঁয় ৩০ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই