খুলনার ডুমুরিয়ায় চাষ হচ্ছে মলা-ঢেলা এক প্রজাতির মাছ। এ মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে মৎস্য চাষিরা। বাম্পার দামও পাচ্ছে মৎস্য চাষিরা। তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। দেশীয় প্রজাতির এক শ্রেণীর মাছ মলা। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এ মাছ বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধ।
আমাদের দেশের খাল-বিল কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে মলা মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার ফলে মলা মাছ এখন বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মলা মাছের পোনা পরিবহন করা একটা জটিল পদ্ধতি। কিন্তু রেণু পরিবহন করা অত্যন্ত সহজ কাজ। তাই রেণু নিয়ে নিজে পোনা তৈরী করে চাষাবাদ করাই উত্তম। এতে খরচ ও ঝুঁকি দুটোই কম। যারা অল্প খরচে মলা মাছ চাষ করতে চান প্রথমদিন থেকে ৭/৮দিন পর রেণু ছাড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এরপর পুকুরে বিষ টোপ ব্যবহার করে সব রাক্ষুসি মাছ মেরে ফেলতে হবে। তারপর পুকুরের সব পানি সেচ দিয়ে ফেলে দিতে হবে। যদি পুকুর আকৃতিতে বড় হয় তাহলে সব পানি অপসারণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে অর্ধেক পানি ফেলে দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভরে দিতে হবে। যদি কোনো পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে। তাহলেও চলবে। সে ক্ষেত্রে চুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। বিষটোপ প্রয়োগের ২য় দিন প্রতি শতাংশে আধা কেজি চুন পানিতে গুলে ছিটিয়ে দিতে হবে।
এব্যাপারে মলাঢেলা মাছ চাষি মোঃ মনিরুজ্জামান সরদার ও মোঃ আজহারুল ইসলাম জানান, তারা ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এর পরামর্শ নিয়ে মলাঢেলা মাছ চাষ করে। চলতি বছরে অর্ধ লাখ টাকার মলাঢেলা মাছ বিক্রি করেছে। উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আগামীতে আরও বেশি করে মলাঢেলা মাছের চাষ করবেন বলে জানান তারা।
ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর বলেন, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় মলাঢেলা মাছ চাষ করে অনেক মৎস্য চাষিরা লাভবান হচেছ। এ কারণে এবছর নতুন করে অনেক মৎস্য চাষি মলা মাছ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই