খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  দুর্গাপূজার ছুটি বৃহস্পতিবার একদিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
  খুলনায় মাদক মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত

কয়রায় বিএনপির ত্রাণ বিতরণে পুলিশের বাঁধা ও লাঠিচার্জের অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়রায় ত্রান বিতরণ কাজে বাঁধা, নেতাকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ ও পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলেছে খুলনা বিএনপি নেতারা। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন তারা।

খুলনা বিএনপির নেতারা যৌথ বিবৃতিতে কয়রা থানা পুলিশের খারাপ আচরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের অনুমোতি নিয়ে ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কয়রা উপজেলার কালনা আমিনিয়া মাদ্রাসায় ত্রাণ বিতরণ শেষে ভাঙ্গন কবলিত মেঘারাইট, গোবিন্দপুর, দশালিয়া, শেখের টেকের কোন ও হোগলাবাজার পরিদর্শন শেষে পুনরায় কয়রার কালনায় পৌছালে কয়রা থানার এএসআই মিন্টু ও সাইফুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য বিএনপি নেতৃবৃন্দের দ্রুত এলাকা ছাড়ার জন্য বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু নামাজ পড়তে চাইলে পুলিশ নামাজ পড়তেও বাঁধা সৃষ্টি করে যা একটি গনতান্ত্রিক দেশে মোটেই কাম্য নয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পুলিশ সদস্যরা আগে থেকেই নেতৃবৃন্দের গাড়িগুলো কালনা থেকে প্রায় তিন কি: মি: দুরে সরিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে ভ্যান যোগে গাড়ির কাছে এসে খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি নিলে আবারো ওই পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন এবং খাবার স্থল ঘেরাও করে রাখেন। পরবর্তীতে না খেয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ত্রান সদস্যদের নিয়ে প্রায় ১২ কি: মি: দুরে অর্থ্যাৎ চাঁদআলী ব্রীজের কাছে এসে নামাজের প্রস্তুতি নিলে পুনরায় সেখানে এসেও নামাজে বাঁধা প্রদান করেন এবং পাইকগাছায় গিয়ে নামাজ পড়তে বলেন অন্যথায় থানা হাজতে নামাজ পড়তে হবে বলে হুমকি দেন।

এ সময় ত্রানকর্মীরা গাড়ি থেকে নামলে অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ শুরু করেন। এত ত্রানকর্মী শামীম আশরাফ ও মেহেদী হাসান মিলন গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য এগিয়ে এলে লাঠি উচু করে ঔদ্ধত্যপুর্ন আচরণ করেন এবং গ্রেফতারের হুমকি দেন। এসময় পুলিশের ছবি তুলতে গেলে আরো একজন ত্রাণকর্মীকে মারতে আসেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।

পুলিশের এ ধরনের মানবিক কাজে বাঁধাদানে এএসআই মিন্টু ও সাইফুলের শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে অনুমোতি নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় কার বা কাদের ইশারায় বাধাদান খারাপ আচরণ করেছেন তা খুঁজে বের করার আহবান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি ও জেলা সাধারন সম্পাদক আমির এজাজ খান। সূত্র: খবর বিজ্ঞপ্তি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!