খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, ‘সাতক্ষীরার প্রভাব খুলনায় এসে পৌঁছেছে। আম এবং বন্দরের মালামাল আনা নেওযায় সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলছে। এখানে সংক্রমণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। যশোরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে বিধিনিষেধ চলছে। বাগেরহাটের মোংলায়ও বিধিনিষেধ চলছে।’
শুক্রবার বেলা ১১ টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। বক্তৃতা করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ।
বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা মেহেদী নেওয়াজ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘খুলনা সদরে করোনা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায়। খালিশপুর ও সোনাডাঙ্গার পরিস্থিতি অনেক ভাল।’
গত ৩ জুন থেকে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর ও জেলার রূপসা থানায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়।
করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউ এমনকি সাধারণ শয্যা কোথাও ফাঁকা নেই। ১শ’ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৩০ জন।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৯১ জন। জুন মাসের গত ১০ দিনে ৮৬৪ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৮ জুন সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম