রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ, রোড ম্যাপ ও পরিকল্পিত ড্রেন নির্মানের দাবিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে সাতক্ষীরার তালায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে তালা প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন জোয়াদ্দারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সরদার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লু রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক শেখ জাহিদুর রহমান লিটু, তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক এম এ ফয়সাল প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সাতক্ষীরার তালা প্রেসক্লাব মোড় হতে তালা বাজার মডেল (খাজরা) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে তালা থানা এবং কপোতাক্ষ নদ পর্যন্ত ১ হাজার ১০৫ মিটার লম্বা ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৬০ টাকা ব্যয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উচ্চতা ও প্রস্থ ৩ ফুট। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলো সীমানা নির্ধারণ ও রাস্তার জায়গা সার্ভে না করেই রাস্তার পিচ ও ইটের হেজিং নষ্ট করে নির্মাণ হচ্ছে এই ড্রেন। আর রাস্তার দুই পাশের সরকারি সম্পত্তি স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভবন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দখল করে বসে আছেন। যার ফলে রাস্তার হেজিং কেটে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসন রাস্তার জায়গা সার্ভে ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ড্রেন নির্মাণ করার নির্দেশ দিলেও কোন কর্ণপাত করেনি উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই কাজ করায় সরকারের কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে জনবহুল এই রাস্তাটি সময় উপযোগী করা সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নাগরিক কমিটি একাধিকবার রাস্তা সার্ভে করে ড্রেন নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এসময় বক্তারা সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ, রোড ম্যাপ ও পরিকল্পিত ড্রেন নির্মানের দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম