খুলনা ওয়াসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার, জনমনে হতাশা, প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি। শনিবার (০৫ জুন) প্রদত্ত বিবৃতিতে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনাবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিলো সুপেয় পানি এবং সেই প্রত্যাশা পূরণে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা ওয়াসা। কিন্তু ওয়াসার মিষ্টি পানি প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে খুলনা নগরীর জনগন।
গত দু’সপ্তাহে পত্র-পত্রিকায় অনুসন্ধানী রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট জনগনকে কি পর্যাপ্ত মিষ্টি পানি প্রদানে ব্যর্থ হলো? নেতৃবৃন্দ উদ্বেগের সাথে প্রশ্ন রেখেছেন, এত বড় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে তাহলে কার গাফিলতি ছিলো? কেন পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়নি? কেন আগামী শত বছরের চিন্তা মাথায় নিয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি? লবণাক্ত অঞ্চল, নদীতে বহমান মিষ্টি পানির ক্ষমতা, সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ত পানির আকার আয়তন অঞ্চলপর্যায়ে বৃদ্ধি এ সকল বিষয় কেন আমলে নেয়া হল না? দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অভাব, অযোগ্যতা, অদুরদর্শীতা এবং অসাধু আমলাতান্ত্রিক খবরদারী ও দুর্নীতি খুলনা ওয়াসার বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী বলে বিএনপি মনে করে।
বর্তমান সরকারের আমলে নেয়া মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের গাফেলতির কারণে জনগনকে ঋণের বোঝা বহণকারী হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জনগন কোন প্রকারেই মেনে নেবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক ভাবে তদারকি না হওয়া, প্রকল্প ১৯ সালে শেষ হলেও সকল কাজ শেষ না হওয়ায় তিতাসের কর্মকর্তা দিয়ে পানি প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রকল্পের কর্মকর্তাদের ওয়াসায় নিয়োগে অনিয়ম, এই সকল বিষয় ক্ষতিয়ে দেখার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠণ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বর্তমান ওয়াসার অজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত অযোগ্য কর্মকর্তাদের সরিয়ে সৎ যোগ্য লোক নিয়োগের দাবি জানান। একই সাথে এই প্রকল্প যাতে আলোর মুখ দেখে এবং খুলনাবাসি তাদের প্রত্যাশার সফল ওয়াসা দেখতে পায় তার জন্য কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। সূত্র : প্রেস রিলিজ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি