খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

গতি নেই খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পে

মোহাম্মদ মিলন

কাঙ্খিত অগ্রগতি নেই খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আর বৃষ্টির কারণে দুই মাসেরও বেশী সময় বন্ধ থাকার পর চালু হলেও কাজ চলছে ধীর গতিতে।

খুলনা থেকে মোংলার যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয় ২০১০ সালে। তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত তিন দফা সময় বাড়িয়ে অগ্রগতি মাত্র ৬৮ শতাংশ। তিন দফা প্রকল্পের সময় ও মেয়াদ বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি আর বৃষ্টিতে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর থেকে সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে। এছাড়া ভারত, নেপাল ও ভুটান এই রেলপথ ব্যবহার করবে। এর ফলে মোংলা বন্দর আরও গতিশীল হবে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলতলা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ৬৫ কিলোমিটার। শুধুমাত্র রেল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। এই রেলপথে স্টেশন থাকবে ৮টি। ইতোমধ্যে খুলনা ও বাগেরহাটে ৭৫১ একর জমি অধিগ্রহণের পর মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রেলপাটি বসানোর জন্য বেড তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্প এলাকায় পাথর, কনক্রিটের স্লিপার ও রেলপাটিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আনা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে থমকে যায় প্রকল্পের সব কাজ। সাথে বৃষ্টির বাধা তো আছেই।

প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, জমি অধিগ্রহণের দেরি, কাজের মাঝামাঝি এসে পরামর্শক পরিবর্তন, পাইল বার বার ফেল করায় ও বেস গ্রাউনিন্ডং এবং সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি ও বৃষ্টিসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজ বারবার পিছিয়েছে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতি আর বৃষ্টির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে নির্মাণ কাজ থমকে গেলেও ফের মে মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ভারত থেকে কোন মালামাল আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রকল্প এলাকায় যে মালামাল রয়েছে তা দিয়ে আরো ছয়মাস কাজ চলবে। বৃষ্টি কমলে পূর্ণদমে কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের (২০২০) ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম বলেন, কাজের সাইটে বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রায় ২ মাস কাজ থমকে যায়। গত ১২ মে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হলে কাজ করা যায় না। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৬৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!