দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘঠিত সহিংস ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষের হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাটের আশংকায় এলাকায় পুরুষ শূন্যতা দেখা দিয়েছে। মহিলারা ঘরের আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
খুলনার দিঘলিয়া, তেরখাদা এবং নড়াইল জেলার কালিয়া থানার পৃথক ৪ টি পেট্রোল টিম এলাকায় সার্বক্ষণিক পাহারায় রয়েছে। গতকালের হামলায় মারাত্মক আহত মোঃ মাহামুদ আলী মীর (৪০) এর অবস্থা আশংকাজনক। রবিবার (৩০ মে) রাতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ মে সন্ধায় গরু ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দিঘলিয়ার গাজীরহাট ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের মোল্যা বংশ এবং মীর বংশের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংস ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনার জের ধরে গতকাল রবিবার সকালে উভয় বংশের লোকজন আবারও সংঘঠিত হয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের লোকজন ঢাল, সোড়কি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। আহতদের অধিকাংশ সোড়কি বিদ্ধ।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরী বলেন, কাইজ্যা পরবর্তীতে যাতে এলাকায় ভাংচুর, লুটপাট ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে তার জন্য আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পরিস্থিতি সম্পূর্ন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দিঘলিয়া থানার ২ জন এসআই এর নেতৃত্বে পৃথক ২টি পেট্রোল পার্টি, পাশ্ববর্তী তেরখাদা থানার ১ টি এবং কালিয়া থানার ১টি মোট ৪ টি পেট্রোল পার্টি এলাকায় সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে।
এ দিকে গত ২ দিনের সহিংস ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় ১টি মামলা হয়েছে। মামলা নং ১২ তাং ৩১/০৫/২০২১। মামলার বাদী আতিক মীর। মামলায় প্রতিপক্ষের ৬০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই