খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১৮
  বিএনপি কর্মী খুনের মামলায় সাবের হোসেন ৫ দিনের রিমান্ডে
  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

উপকূলে বইছে ঝড়ো বাতাস, রোদ-বৃষ্টির খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কয়রা প্রতিনিধি

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপকূলে বইছে ঝড়ো বাতাস। নদীতে উত্তাল ঢেউ। সেই সঙ্গে চলছে রোদ বৃষ্টির খেলা।

বুধবার ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে ঝড়ো বাতাস। সকাল ৮টার পরপরই পূব আকাশে সূর্যের উকি। ফের মেঘের মাঝে ডুব। কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো ঝড়ো বৃষ্টি। ফের রোদ। এভাবেই রোদ-বৃষ্টির খেলা চলছে কয়রা উপজেলায়।

এদিকে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের কয়রা হামকুড়ো এলাকায় জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে এমন মাইকিং করছে। তারা বলছে, সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন। একে অপরের পাশে দাড়িয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

খুলনার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আর পূর্ণিমার প্রভাব থাকায় নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে তিন থেকে চার ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় খুলনায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

 

কয়রা মদিনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, আজ সকাল থেকে বাতাস বইছে। নদীতে ঢেউ হচ্ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি আর রোদ উঠছে।

কয়রা সদরের ১নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দা রুমা বেগম বলেন, বেড়িবাঁধের পাশেই বাড়ি। ঝড় আসলে ভয় লাগে। তবুও কি আর করার। এখানেই থাকতে হয়। যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এখানে থাকি। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে রোদ উঠছে। বাতাসে নদীতে ঢেউ বইছে।

পাউবো সাতক্ষীরা বিভাগ-২-এর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, কয়রা উপজেলার ২৬টি স্থানের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। মঙ্গলবার সকালে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে যায়। জোয়ারের পানি এমন থাকলে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তবে যদি পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং বাতাসের তীব্রতা বাড়ে তাহলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়নি। তবে জোয়ারের পানিতে বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

খুলনার কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, জোয়ারের পানি বেড়েছে। তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। আশা করছি হবেও না। তবে জোয়ারে পানি উপচে পড়তে পারে। উপজেলায় ১১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে একটি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার মানুষের ব্যবস্থা রয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশির একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫০ জনের মতো মানুষ এসেছে। সাধারণত সংকেত ৯-১০ না হলে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চায় না। মাঝে মাঝে রোদ-বৃষ্টি হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!