মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ইয়াস। এটা স্থলভাগের আরও কাছে চলে এসেছে। এখন তার অবস্থান পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা সৈকত থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। বুধবার ভোরেই তা স্থলভাগে পৌঁছে যেতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর অভিমুখ রয়েছে ওড়িশার ভদ্রক জেলার ধামরা এবং বালেশ্বরের মধ্যবর্তী উপকূলভাগের দিকে। বুধবার ভোররাতেই সেখানে হানা দিতে পারে ‘অতি শক্তিশালী’ ইয়াস। বুধবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। দীর্ঘ সময় ধরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বইতে থাকার পূর্বাভাস ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।