ফেসবুকে পরিচয়, পরে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকার অজান্তে মোবাইলে আপত্তিকর ছবি ধারণ। পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। আর এ হুমকির অপরাধে খুলনার খালিশপুর থানায় দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম শেখ জামাল সম্রাট ওরফে নুরজামাল (২৩)। সে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নলচাপড়া এলাকার শেখ সরোয়ারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম (১৮) খালিশপুরের বাসিন্দা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয়। এরপর ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসআ্যাপে তাদের কথাবার্তা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম ও একে অপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে মোবাইলে আসামি নানা ধরনের আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে থাকে। ভিকটিম মেসেঞ্জারে আসামিকে শরীরের স্পর্শকাতর অংশ দেখাতে থাকে। ভিকটিমের অজান্তে আসামি এসব ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে থাকে। আসামি একজন নারীলুপ্সী। সে ইতিপূর্বে তার মতো অনেক নারীর সাথে সম্পর্ক করে সর্বশান্ত করেছে। এটা জেনে তিনি আসামির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৬ মে রাত ১২ টার দিকে ভিকটিমের ধারণকৃত স্থিরচিত্র পাড়ার বড় ভাই ও প্রতিবেশীদের মেসেঞ্জারের ইনবক্সে পাঠিয়ে তা ভাইরাল করে।
যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর আসামি ধারণকৃত স্থিরচিত্র গুলো ভিকটিমের মেসেঞ্জারে পাঠাতে থাকে ও ধারণকৃত ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। পরে সে পরিবারের সাথে আলোচনা করে ১৭ মে খালিশপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্ণেগ্রাফি আইনে মামলা করেন, যার নং ১৬। পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে রবিবার (২৩ মে ) কমলাকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অমিত কুমার বাগচী খুলনা গেজেটকে জানান, তার কাছ থেকে শাওমী মোবাইল যার মডেল এমআইএ-২ উদ্ধার করা হয়। যেখানে ভিকটিমের বিবস্ত্র স্থিরচিত্র ও ভিডিও রয়েছে। সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাকে অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ৩১ মে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
খুলনা গেজেট/ এস আই