খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১৮
  বিএনপি কর্মী খুনের মামলায় সাবের হোসেন ৫ দিনের রিমান্ডে
  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

‘ইয়াস’ আতঙ্কে খুলনা উপকূলের দু’লাখ মানুষ, মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। এ খবর ইথারে ইথারে প্রচার হওয়ার পর খুলনার পাঁচ উপজেলার দু’লাখ মানুষ আতঙ্কে আছে। ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী হয়ে খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় এক নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় খুলনা জেলার পাঁচ উপজেলায় ২৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর ২০ মে আম্ফানে খুলনা জেলায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়।

দেশে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাওয়ার মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশংকার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী শনিবার বেলা ২টার পর পূর্ব মধ্য বঙ্গপোসাগর ও তার পার্শবর্তী এলাকায় লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে বুধবার নাগাদ খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। দুবলার চরের সন্নিকটে ইলিশ মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার উঠতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের দেওয়া সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

খুলনা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য কয়রায় ১১৮টি, দাকোপে ১২৩টি, ডুমুরিয়ায় ১৯টি, বটিয়াঘাটায় ১৮টি ও পাইকগাছায় পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ৯০ হাজার ৩৭০ জন। জেলা ত্রাণ পুর্ণবাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গো খাদ্য ও শিশু খাদ্য প্রস্তত রয়েছে। পাঁচ হাজার ৩২০ জন্য স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত রয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শুকনো খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান নামক প্রাকৃতিক দূর্যোগে খুলনা জেলায় দু’লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়রা উপজেলার কয়েকটি বেড়িবাধ ভেঙ্গে যায়। আম্ফানে গাছ পড়ে তিন জনে মৃত্যু হয়।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাতটি ইউনিয়নে এক হাজার ২৬০ জন সিপিপি কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও সদর ইউনিয়নে কাল থেকে মাইকিং করা হবে। এ পাঁচটি ইউনিয়ন সব সময় দূর্যোগে ঝূঁকিপূর্ণ থাকে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!