আমপানের বর্ষপূর্তিতে ‘ইয়াস’-এর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মিলে গিয়ে শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার ২৩ মে সকালে সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করবে। সোমবার বেশি শক্তি সঞ্চয় করে সেই নিম্নচাপ উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে ও আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর ২৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর শনিবার এমনটাই জানিয়েছে।
তবে কোথায় আছড়ে পড়বে এখনও তা অস্পষ্ট হলেও পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি বলে তাদের অভিমত।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে ‘ইয়াস’ পশ্চিমবঙ্গ, সংলগ্ন উত্তর ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।
‘ইয়াস’-এর প্রভাবে সোমবার থেকেই রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। ২৫ তারিখ ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে হাওয়া।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আগামী রোববারের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই