খুলনায় ঈদের দিনেই কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত পাচ্ছেন ভারত ফেরত ১২১ নাগরিক। বাকি ৪১৫ জনের ঈদ কাটাতে হবে মহানগরীর বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। যাদের জন্য এদিনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সকল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা আটকে যান ভারতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইন থাকাসহ নানা শর্তে তারা দেশে প্রবেশের অনুমতি পান। এ সময় কয়েক দফায় মোট ২ হাজার আট শ’ ভারত ফেরত নাগরিক যশোরের বেনাপোল বন্দর থেকে দেশে প্রবেশ করেন। যার মধ্যে ৫৩৬ জন খুলনা আসেন। হোটেল ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৩টি স্থানে তারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনার ১৩ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মোট ১২১ জন ভারত ফেরত নাগরিক মুক্তি পাচ্ছেন ঈদের দিন। এছাড়া বাকিদের ১৪ দিন পূর্ণ হয়ে গেলেই মুক্তি দেয়া হবে। তবে যারা কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে কেউই করোনা শনাক্ত হয়নি।
প্রথম দফায় যশোর থেকে ১৪০ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও খুলনার কেউই ১৪ দিন পূর্ণ না হওয়ায় ছাড়পত্র পাননি। খুলনা থেকে প্রথমবারের মতো শুক্রবার (১৪ মে) ছাড়পত্র পাচ্ছেন ১২১ জন। অর্থাৎ ঈদের দিনই মুক্তি পাচ্ছেন তারা। বাকি ৪১৫ জনের ঈদ কাটবে কোয়ারেন্টাইনেই।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইউসুফ আলী বলেন, খুলনার বিভিন্ন স্থানে হোটেল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে ১৩ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। যেখানে পাঁচ শতাধিক ভারত ফেরত নাগরিক রয়েছেন। যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন শুক্রবার ঈদের দিন তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে বলে জানান এই সরকারি কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি