নগরীতে দস্যুতা মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ছিনতাই হওয়া নগদ অর্থ ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৩ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় মোঃ ইকবাল হাসান খান (৫৬) ও তার ছোট ভাই তানভীর আহম্মেদ (৩৩) মটরসাইকেল যোগে তিন লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর সুন্দরবন কলেজের বিপরীত হতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘‘মেসার্স তারা মটরস্’’ এ সোনাডাঙ্গায় রওয়ানা দেন।
ইকবালনগর হাজী মেহের আলী রোড, গ্রীণ লীফ স্কুলের সামনে পৌঁছালে অন্য একটি মটরসাইকেল গাড়ীর গতিরোধ করে এবং জোরপূর্বক বাদীর ছোট ভাইয়ের কাছে থাকা ব্যাগ ভয়ভীতি ও মারধর করে ছিনিয়ে নেয়। ওই দিনই ভূক্তভোগী খুলনা থানায় মামলা করেন যার নং ২। এ মামলার তদন্ত করছেন এসআই মোঃ সাইদুর রহমান।
শনিবার (৮ মে) তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দস্যুতা মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামাদের শনাক্ত পূর্বক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তুষখালিয় আব্দুল ছমেদ খলিফার ছেলে বাবলু খলিফাকে (৩২) বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন দশানি এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
একইদিনে বিকাল ৫ টায় কয়রার মৃত আব্দুল হাকিম সানার ছেলে মন্টু সানা (৪০)কে কেএমপি’র লবনচরা থানাধীন ঠিকারাবন্দ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। এ সময় বাবলু খলিফা (৩২) এর নিকট হতে ছিনতাইকৃত নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে রবিবার (৯ মে) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পলাতক মিন্টু আলীর (৩৫) নিকট হতে তিন হাজার একশত টাকা উদ্ধারসহ মোট ৯২ হাজার ১শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মন্টু সানাকে (৪০) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং বাবলু খলিফা (৩২), মিন্টু আলী (৩৫) এবং মোঃ ইমরান শেখ (২৪) দেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ পূর্বক পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি