করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন টালমাতাল ভারতের দিল্লি, তখন শহরটির উত্তর পশ্চিমে মডেল টাউন এলাকায় ঘটল লোমহর্ষক এক ঘটনা।
বুধবার রাতে সেখানে ছত্রসাল নামক স্টেডিয়ামের বাইরে ২৩ বছরের এক কুস্তিগীরকে পিটিয়ে খুন করল দুর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় নিহত কুস্তিগীরের দুই বন্ধু মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। তারা এখন স্থানীয় বিনায়ক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
কুস্তিগীরকে হত্যার নেপথ্যে ভারতের এক অলিম্পিক পদকজয়ী এথলেট রয়েছেন বলে সন্দেহ দিল্লি পুলিশের।
এ ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তর পশ্চিম দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গুরিকবাল সিং সিন্ধু বলেন,নিহত কুস্তিগীর দিল্লি পুলিশের একজন হেড কনস্টেবলের ছেলে, তার নাম সাগর কুমার। আহত একজনের নাম সোনু মহল। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।
কি কারণে কুস্তিগীরকে এভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হলো তার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাগর ও তার দুই বন্ধু স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় অলিম্পিক পদকজয়ী সেই ক্রীড়াবিদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সম্প্রতি সেই পদকজয়ী ব্যক্তি তিনজনকে ঘর খালি করে দিতে বলেন। কিন্তু তারা রাজি না হওয়ায় এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডার সূত্রপাত।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, এই বাড়ি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে তৈরি ঝগড়ায় অলিম্পিক পদকজয়ীকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিল সাগর। মঙ্গলবার রাতে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি সমস্যা সমাধানের জন্য সাগরকে ফোন করে ওই স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় আসতে বলেন। দুজন বন্ধু নিয়ে সাগর সেখানে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় তিন ব্যক্তি। বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয় সাগরসহ তিনজনকে। এরই মধ্যে গুলি চালায় একজন। ঘটনার পরে তিনজনই সেই স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
মারাত্মক আহত তিনজনকে বিনায়ক হাসপাতালে নিয়ে এলে সাগরের মৃত্যু হয়। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
খুলনা গেজেট/কেএম