করোনা, আম্ফান ও দাবদাহের মতো দূর্যোগ উপেক্ষা করে নতুনবাজারে ডিপোগুলোতে এ মৌসুমের প্রথম চিংড়ি আসতে শুরু করেছে। ডিপো মালিকরা আশংকা করছেন আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে স্থানীয় বাজারে চিংড়ির দাম বেশি। এছাড়া হিমায়িত কোম্পানিগুলো নগদ টাকায় চিংড়ি কিনছে না। গেলো বারের তুলনায় এবারে চিংড়ির দাম বেশি।
গত বছরের ২০ মে দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে আম্ফান নামক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে যায়, ঘেরের চিংড়ি ভেসে যায়। কয়রা, মোংলা, শ্যামনগর ও আশাশুনির শ-শ চিংড়ি চাষি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া করোনার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে চিংড়ি আমদানি বন্ধ রয়েছে। ঘেরে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাগদা চিংড়ি রপ্তানিযোগ্য হয়েছে। ফলে এপিল থেকেই অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার গোনে বাগদা নতুনবাজার ডিপোতে আসছে।
ব্যবসায়ীদের সুত্র বলেছে, আট পিসে এক পাউন্ড সাইজের বাগদা ৮শ’ টাকা, ১৮ পিসে এক পাউন্ড ৬শ’ এবং ২৪ টি তে এক পাউন্ড সাইজ ৫শ’ টাকা দরে বিকিকিনি হচ্ছে। গত মৌসুমে ছিল যথাক্রমে ৭শ’, ৫শ’ ৫০ ও ৪শ’৫০ টাকা। গত মৌসুমের চেয়ে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
ডুমুরিয়ার খর্নিয়ার চিংড়ি চাষী মোঃ মিন্টু বলেন, মৌসুমের শুরুতেই পোনার সংকট ছিল। অধিক মূল্য দিয়ে নদী থেকে উৎপাদিত পোনা ঘেরে ছাড়তে হয়। তাতে উৎপাদন খরচ বাড়ে। নতুনবাজার ডিপোতে চিংড়ি এনে নগদ অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না।
রূপসা বাজারের মাছের আড়ত আকন ফিসের প্রোপাইটার আঃ মজিদ বলেন, মৌসুম শুরু হলেও ঘের থেকে যে পরিমান মাছ আসার কথা ছিল সে পরিমাণ আসছে না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মাছের একটু দাম বেশি। তবে বৃষ্টি শুরু হলে পরিবেশ স্বাভাবিক এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদী।
রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানায়, খুলনাঞ্চল থেকে গত মৌসুমের শেষ দু’মাসের মধ্যে ডিসেম্বরে তিন লাখ ৫৭ হাজার ১ শ’ ৬৭ ডলার এবং ৬ লাখ ৬৫ হাজার ইউরো এবং এ বছরের জানুয়ারি মাসে ১০ লাখ ৬৬ হাজার মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হয়। যেসব দেশে চিংড়ি রপ্তানি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, পতুর্গাল, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, জামার্নি,ইটালি, ডেনমার্ক, রোমানিয়া, জাপান প্রভৃতি।
খুলনা গেজেট/ এস আই