খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার উত্তর চন্দনীমহল (বোগদিয়া) গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোঃ বেলায়েত হোসেনের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দিঘলিয়া থানা পুলিশ। ২৫ এপ্রিল রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে টার দিকে দিঘলিয়া থানার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামিরা হলোঃ মঈন মোল্লা (৪৫) পিতা ধলা মিয়া মোল্লা, মোস্তফা শেখ (৪০) পিতা আবুল শেখ, আব্বাস শেখ (৩৮) পিতা আবুল শেখ, ইকা মোল্লা (৫০) পিতা সাখাওয়াত মোল্লা, মাসুদ সরদার (৩৮) পিতা আমজাদ সরদার, রাশেদ গাজী (৩৫) পিতা ইসমাইল গাজী, মিরাজ মোল্লা (৩৫) পিতা জামাল মোল্লা, রিয়াজ মোল্লা (৩০) পিতা জামাল মোল্লা, রকি শেখ (৩০) পিতা আসলাম শেখ, পিন্টু মোল্লা (৩০) পিতা ইউসুফ মোল্লা, আসাদ মোল্লা (৩১) পিতা দবির মোল্লা, ইউসুফ মোল্লা (৬০) পিতা মৃত সিদ্দিক মোল্লা, হাফিজ (৩৮) পিতা আলতাফ, ইয়াসিন শেখ (৪০) পিতা নিজাম শেখ, চুন্নু খাঁ (৪৫) পিতা ইউনুস খাঁ, সিরাজ শেখ (৪৫) পিতা জামাল শেখ। গ্রেপ্তারকৃত সবার বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামে।
দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার জানান, গ্রেপ্তারকৃত এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিকে ২৫ এপ্রিল রবিবার কোর্টে চালান দেওয়া হয়।
এর আগে ২৪ এপ্রিল সকালে চন্দনীমহল বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার হয় একই মামলার এজাহারভূক্ত আসামী গাজী আলম (৪৫) পিতা মৃত গাজী আকবর আলী কে। গ্রেপ্তারকৃত ১৭ জনই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন বলে জানা যায়। বেলায়েত হোসেনের দায়েরকৃত মামলায় মোট আসামি সংখ্যা ৩২ জন। মামলা নং ৩ তাং ১৯/০৪/২০২১। একই ঘটনায় ১৭ এপ্রিল মোঃ আশরাফ মোল্যা বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২ তাং ১৭/০৪/২০২১। উভয় মামলায় আসামির সংখ্যা মোট ৪৬ জন। ১৫ এপ্রিল রাতে উত্তর চন্দনীমহল (বোগদিয়া) গ্রামে মোঃ জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া চৌকিদারের মৎস ঘেরে বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম