আমি চা বিক্রি না করলে খাবো কি? সরকার কি আমাগো খাওনের ব্যবস্থা করবে? সরকার আমাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করে দোকানপাট বন্ধ করে দিত, আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। কথাগুলো শুক্রবার সন্ধ্যায় বলছিলেন মহানগরীর খানজাহান আলী রোডের ইকবালনগরের মোড়ে ফ্লাস্ক হাতে চা বিক্রি করা রানু বেগম।
শুধু রানু বেগম নয়, খুলনার ফুটপাত জুড়ে শ’ শ’ চায়ের দোকান। সকাল থেকে রাত অবধি জমজমাট থাকত এসব দোকানপাট। লকডাউন শুরু হলে প্রায় সব চায়ের দোকানই বন্ধ হয়ে যায়। দোকানীরা পদ্ধতি বদলে ফ্লাস্কে করে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রি করছে। তবে চা বিক্রির পরিমাণ কমেছে।
শিববাড়ি মোড়ের পাইলট টি স্টলের মালিক পাইলটকে দেখা যায় ফেরি করে ফ্লাস্কে চা বিক্রি করছে। পাইলট বলেন, “পেটে ভাত নেই। চাইলেও শতভাগ লকডাউন মানতে পারছি না। সন্ধ্যার পরে পেটের দায়ে চা ফেরি করি।”
স্থানীয় বাসিন্দা সালেহা বেগম বলছিলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।’ ফলে চা বিক্রির পরিমাণ কমেছে। এতেও প্রতিদিনের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি