কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪১ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই ৮ বিভাগের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে চাকরিপ্রার্থীরা এসে ভিড় করেন। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে চিরচেনা পরিবেশ ছিল না। অন্যরকম পরিবেশে কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চাকরিপ্রত্যাশীরা সামাজিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষায় বসেছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ৩৫৯টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে এ পরীক্ষা। চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। পৌনে ৫ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষার শুরুর এক দেড় ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে এসে পৌছান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে সব শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি তাদের পরীক্ষা নিতে আলাদা কক্ষে পাঠানো হয়েছে। যাদের মুখে মাস্ক ছিল না, তাদের কেন্দ্র থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে।
কঠোর স্বাস্থ্যবিধি এবং পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা পরীক্ষণ শেষ করেই কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬টি শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩ জন, সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন; প্রফেশনাল ও টেকিনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর বিপরীতে আবেদন করেন প্রায় পৌনে ৫ লাখ চাকরিপ্রার্থী। করোনার প্রকোপ কমে এলে পিএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে। পরে প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার দাবি ওঠে। হাইকোর্টে রিটও হয়। আদালত নির্ধারিত তারিখেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম