খুলনার রূপসা উপজেলার নতুনহাট-খুদির বটতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে সড়কটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু এ সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে অনেক দিন যাবত সড়কটি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অনেক যায়গায় ডেবে গেছে, উঠে গেছে সড়কের বিটুমিন। অনেক জায়গায় মিলবেনা একটু পিচের দেখা। সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত চলাচলের অযোগ্য হওযায় দুর্ভোগের যেন শেষ নেই এখানকার খেঁটে খাওয়া কৃষক, দিনমজুর, কর্মজীবী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের।
৪নং টিএসবি ইউনিয়নের তিলক গ্রামের বাসিন্দা আলম হাওলাদার জানান, আমরা এখান দিয়ে চলাচল করতে পারি না, বৃষ্টির সময় আরও কষ্ট হয়। কোনো প্রকার যানবাহন এই রোড দিয়ে গেলে সামনে ধূলাবালি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। যানবাহনে চলাচল করবো, তারও সুযোগ নেই। রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে একদিন যানবাহনে চলাচল করলে গায়ের ব্যাথায় বিছানা থেকে উঠতে পারি না। আমরা এলাকাবাসী রাস্তাটি অতি সত্বর সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ভ্যানচালক কনক দাস বলেন, কয়েক বছর আগে পাথরঘাটা এলাকায় যখন ওয়াসার কাজ শুরু হয়। তখন এই সড়ক দিয়ে বড় বড় ট্রাক চলাচল করত। যে কারণে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা। কিন্তু র্দীঘদিন পরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় আমরা যাত্রী নিয়ে ঠিকমত যাতায়াত করতে পারি না। সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
পিকআপ চালক জুবায়ের শেখ জানান, ওই রোডে অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। আর অনেক সময় গর্তে পড়ে চাকার এক্সেল ভেঙে যায়। এতে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। গাড়ি চালাতে গেলে মনে হয় এই বুঝি উল্টে পড়লাম। যে কারণে এখন ওই সড়কে গাড়ি নিয়ে তেমন একটা চলাচল করি না।
এ বিষয়ে রূপসা উপজেলা প্রকৌশলী এস. এম. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যখন ওয়াসার অধীনে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়। তখন ওই সড়ক দিয়ে বড় বড় যানবাহন চলাচল করতো। যে কারণে সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম