খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যপরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সারওয়ার আহমেদ শনিবার বিকালে এই আদেশ দেন বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন জানিয়েছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে খুলনা শহরের গোয়ালখালী এলাকার বাসা থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তুলে নেওয়া হয় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যপরিষদের সংগঠক নিয়াজ মুর্শিদকে। তবে তাকে রাতেই ছেড়ে দেয়।
নিয়াজ মুর্শিদ বলেন, রাত ১০টার দিকে গোয়েন্দা ও মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল যৌথভাবে ওই বাসায় অভিযান চালায়। “আমরা কয়েকজন শ্রমিক রাজনীতি প্রসঙ্গে একটি অনলাইন লাইভ প্রোগ্রামে ছিলাম। সেখান থেকে আমাদের তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়।”
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার বি এম নূরুজ্জামান বলেছেন, “রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট, সামাজিক অস্থিরতা তৈরিসহ অন্যান্য কারণে রাতেই রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের একজন পরিদর্শক ওই মামলার বাদী হয়েছেন।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মোশারেফ বলেন, “পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলেও আদালত দুই দিন মঞ্জুর করেছে। রুহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
যে বাড়ি থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের। কিশোরও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
কিশোরের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুশতাক আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের। গ্রেপ্তারের পর গত নয় মাসে বেশ কয়েকবার তার জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরের দিকে মুশতাককে নিয়ে ফেইসবুকে লিখেছিলেন রুহুল আমিন।
খুলনা গেজেট/ টি আই