খুলনার রূপসায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথমবারের মত ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন চাষী নাজিম উদ্দীন। ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমন হয়েছে সুস্বাদু। প্রতিদিন ক্ষেত দেখতে আসছে এলাকার অসংখ্য উৎসুক মানুষ। কেউ আসছে ক্রেতা হিসেবে। আবার কেউ আসছে এক নজর দেখতে।
সরেজমিনে বুধবার সকালে উপজেলার ৪নং টিএসবি ইউনিয়নের কাজদিয়া গ্রামের গুচ্ছগ্রামের পশ্চিম পাশে থাকা নাজিম উদ্দিনের ক্যাপসিকামের বাগান ঘুরে দেখা যায়, একটি বিশেষায়িত শেডের নিচে শত শত গাছে লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম ঝুলে আছে। পরিচ্ছন্ন বাগান জুড়েই পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ক্যাপসিকাম। এছাড়া তিনি তার জমিতে পরিক্ষামূলক ভাবে স্কোয়াশ চাষ করছেন।
নৈহাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা চাষী নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। চাকরি করা অবস্থায় সেখান থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে আমি ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়। তারপর ৪নং টিএসবি ইউনিয়নের একজনের কাছ থেকে ২২ শতক জমি লিজ নিয়ে নিজ উদ্যোগে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করি। প্রথমে আমি এই জমিতে প্রায় আড়াই হাজার গাছ লাগিয়ে ছিলাম। বর্তমানে এখানে প্রায় ২ হাজারের মতো গাছ আছে।
তিনি বলেন, এই বাগান করতে আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমি এখান থেকে ২০ কেজির মতো ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি। এই গাছ ৪ থেকে ৫ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এছাড়া ২ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এই গাছ ফল দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাপসিকাম গাছে পোঁকার আক্রমণ বেশি তাই স্প্রে প্রয়োগ করতে হয়। এই ফল খুব পুষ্টিকর। বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি ১৮০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এবং খুচরা দাম ২৫০-৩০০ টাকা। এই ফসল চাষে আমি লাভবান হবো।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুজ্জামান বলেন, ক্যাপসিকাম নতুন ফসল এবং উচ্চ মুল্যের ফসল। এই ফসল চাষ করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম