শিরোনাম দেখে চমকে উঠেতেই পারেন যে কেউ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন। সত্যিই হতে যাচ্ছে এমনটা। তবে, বাংলাদেশের টেস্ট মানে সাদা পোশাকের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে সাকিব আল হাসানকে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বোর্ডের অন্দরমহলের সূত্র গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তায় বোর্ডে চিঠি দিয়ে সাকিব জানান, এপ্রিলে বাংলাদেশের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবেন না। ওই সময়ে আইপিএল খেলবেন বলে বোর্ডকে জানান সাকিব। যুক্তি আইপিএলে খেললে তার ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালো হবে। সাকিব চিঠির পর সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় জরুরি বৈঠকে বসেন ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা।
বোর্ড কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন; কেউ খেলতে না চাইলে তাকে জোর করে টেস্ট খেলানোর পক্ষে নয় বিসিবি। তাই আইপিএলে খেলার ব্যাপারে সাকিবকে সবুজ সংকেত দিয়েছে বোর্ড। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বলে গত বছর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-আইসিসি।
এদিকে, করোনার কারণে ২০২১ সালের বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি এখনো চূড়ান্ত করেনি বোর্ড। সাকিবের চিঠির প্রেক্ষিতে বোর্ড তার শক্ত অবস্থার কথা জানান দেওয়ার জন্য সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সাকিবকে বাদ দেয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আভাস মিলেছে।
এ বছরে বাংলাদেশ আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম বা এফটিপি অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আরো ১০টি টেস্ট খেলবে। এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ ২টি, জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ২টি, আগস্টে হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি, নভেম্বরে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে আরো ২টি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনের আলোতে দেশের ক্রিকেট যখন আবারও সাকিব ইস্যুতে উত্তাল হবে। তার আগেই পরিবারের টানে তৃতীয় সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন বলে, সাকিব রাতেই উড়াল দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে।
খুলনা গেজেট/কেএম