শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গৌরবের প্রতীক। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ বিশ্বের বিরল ঘটনা। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি। ১৯৫২ সালের এদিনে মাতৃভাষার মর্যাদারক্ষা করতে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন রফিক, শফিক, আব্দুস সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও অনেকে।
তিনি আজ (রবিবার) দুপুরে খুলনার বয়রা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। এ আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্ত্বা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন। তিনি আরও বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করি এবং সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আব্দুস সালাম। খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিল আল আজাদ, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সকালে প্রতিমন্ত্রী দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শহিদ মিনার চত্ত্বরে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও র্যালিতে এবং পরে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগদান করেন। সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/ টি আই