মধ্যাহ্ন বিরতির পর হঠাৎ পাল্টে গেল দৃশ্যপট। চালকের আসনে চেপে বসল বাংলাদেশ। দুই স্পিনার তাইজুল-নাঈমের ঘূর্ণিজাদুতে ২৯ বলে শেষ ৪ উইকেট পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই ৪ উইকেটে রান উঠে মাত্র ১৬। মাত্র ১১৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের। জয় পেতে ২৩১ রান করতে হবে বাংলাদেশের। চতুর্থ দিনের অর্ধেকটাসহ পঞ্চম দিনের পুরোটা বাকি।
উইকেট ধরে খেললে অসম্ভবের কিছুই নয়। তবু রেকর্ড গড়ে জিততে হবে মুমিনুল বাহিনীকে। ভাঙতে হবে নিজেদের আগের রেকর্ড।
বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ২১৭ রানের। রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গড়া রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকরা বলতে পারেন, ব্যাপারটা একটু কঠিনই। কারণ মিরপুর শেরেবাংলায় ২০৯ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির নেই একটিও।
২০১০ সালে বাংলাদেশের দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ম্যাচ জয় করে নেয় ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র ১০১ রানের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিলেন টাইগাররা। সে হিসেবে আজ ২৩১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারলে সব রেকর্ডই ছাপিয়ে যাবে মুমিনুলের দল।
সে লক্ষ্যে দুরন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে মেজাজে খেলছেন তামিম। ২৯ বলে ২০ রান করে ফেলেছেন। তবে দেখেশুনে খেলছেন সৌম্য। ২৩ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। আরও ২০১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান।
খুলনা গেজেট/এনএম