বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেছেন, আলীম জুট মিলের অর্থ ছাড়ের বিষয়ে এখন আইনগত কোনো বাধা নেই। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে মির্টিং শেষে মিলটির পাওনা পরিশোধের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে মিলের শ্রমিকদের হিসাবনিকাশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। সব শ্রমিক তাদের পাওনা দ্রুত সময়ের মধ্যে পাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো পরিদর্শনকালে আলীম জুট মিলে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে তিনি বলেন, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সকল জুট মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। শুধু আলীম জুট মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে আইনি জটিলতায় বন্ধ রয়েছে। এই মিলটির শ্রমিকরা আইনি জটিলতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সু-খবর হল, একটি পক্ষের রিটের কারণে পাওনা পরিশোধে যে বাধা ছিল সেটির আদেশ সরকারের পক্ষে যাওয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে মতামত দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিজেএমসির মহাব্যবস্থাপক ও খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব কাজী কামরুল হাসান, প্লাটিনাম জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মুরাদ হোসেন, আলীম জুট মিলের প্রকল্প প্রধান সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, উৎপাদন বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সরকার নতুন প্রক্রিয়ায় চালুর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এসব পাটকল কীভাবে চালু করা যাবে, এর পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে খুলনার জুটমিলগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
বিজেএমসি খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজেএমসির চেয়ারম্যান খুলনা সফরে এসেছেন। তিনি বুধবার সকাল থেকে দৌলতপুর, প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, আলীম, ইস্টার্নসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। রাতে খালিশপুর জুট মিল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি পাটকলগুলো লিজের মাধ্যমে চালুর বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে লিজের মাধ্যমে চালু করা হলেও কত শতাংশ সরকারের থাকবে, বাকি কত শতাংশ বেসরকারি খাতে যাবে সেটি এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিষয়টি জানানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ১ জুলাই খুলনার ৯টিসহ দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বর্তমানে পাটকলগুলোর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।