পাইকগাছায় গত এক বছরে ছোট-বড় ৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৬ জন গুরুতর আহত ও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) দক্ষিণ অঞ্চল শাখার সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার এ তথ্য তুলে ধরা হয়। দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন ও নিসচা’র নিজস্ব তথ্য অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সড়ক দুর্ঘটনার এমন প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে বলে নিসচা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে নিসচা’র পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, বেপরোয়া গাড়ী চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ী পরিচালনা করা, পথচারীদের অসচেতনতা, রাস্তার পাশে অবৈধ গাড়ী পার্কিং, হাট-বাজার ও দোকান পাট স্থাপন, ফিটনেস বিহীন গাড়ী চালানো, আইন না মানার প্রবণতা ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নভেম্বর ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অত্র উপজেলায় ৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রাকের সংঘর্ষে লক্ষ্ণীখোলার মফিজুল তরফদার, মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আগড়ঘাটার জুয়েল, ট্রলি সংঘর্ষে মৌখালীর মেহরাব হোসেন, ইজিবাইকে ওড়না জড়িয়ে গজালিয়ার আরিফা খাতুন, নছিমন দুর্ঘটনায় সোলাদানার শিশু ইমরান গাজী, গদাইপুরের শিশু রানী, পিকআপ দুর্ঘটনায় কয়রার আরশাদ আলী ও হরিনগর এলাকার বাচ্চু নিহত হয়। দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত ৬ দফা সহ সড়ক পরিবহন ২০১৮ বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিসচা দক্ষিণ অঞ্চল শাখার সভাপতি এইচএম শফিউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু, নিসচা’র সহ-সভাপতি ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক গাজী মোসলেম উদ্দীন দয়াল, এম কামরুজ্জামান, নাজিম উদ্দিন ও রাকিব রাজ্জাক।
খুলনা গেজেট/কেএম