এক গ্রামে ৭ জন চোর বাস করত। চুরি তাদের পেশা। চুরি করেই তারা সংসার চালায়। প্রতি রাতে কোন না কোন গ্রামে চুরি করতে যায়। ঐ গ্রামে বাস করত আদা পাগল এক যুবক। একদিন সাত চোর চুরি করতে যাচ্ছে।
: তোমরা কই যাও?
: চুরি করতে।
: আমাকে নাও।
: চল।
তারা যুবককে সাথে নিয়ে গেল। অনেক দূরে এক গ্রামের বাড়িতে চুরি করতে গেল। শিং কাঠি দিয়ে অনেক বড় গর্ত করলো মাটির দেওয়াল। তারপর একে একে সবাই ভিতরে ঢুকল। সাতজন লুকালো তাকে দিল মালের সন্ধানে। পাগল যুবক পেয়ে গেল চাউল আর গুর। সে ক্ষির রান্না শুরু করলো। রান্না হচ্ছে। বাড়ির সবাই মাটিতে ঘুমানো ছিল। হঠাৎ ঘুমের ঘোরে একটি হাত তার পায়ের কাছে ছিল। যুবক ভাবল ক্ষির চাচ্ছে। সে চামচ দিয়ে এক চামচ গরম ক্ষির তার হাতে দিল। সে চিৎকার দিয়ে উঠলো। সাথে সাথে সবার ঘুম ভেংগে গেল। আলো জ্বাললো। তারা যুবককে দেখে বললো,
: তুমি কি করছ?
: ক্ষির রান্না করছি।
: কে তুমি?
: চোর।
: কি করে ঢুকলে?
: ঐ গর্ত দিয়ে।
তারা তাকিয়ে দেখল বিরাট গর্ত। যুবককে মারা শুরু করলো,
: আমি কি একা চোর?
: আর কে আছে?
: ঐ দেখ সাত জন চোর।
তারা তাকিয়ে দেখে সাত স্থানে লুকিয়ে আছে সাত জন চোর। তারা চিৎকার দিতেই পাড়ার মানুষ ছুটে এলো। তাদের ধরে পিটানো শুরু করলো। সব গুলোকে বেঁধে রাখল। পুলিশকে খবর দিল। তারা বুঝতে পারল যুবক চোরনা, এটা পাগল। সবাই তাকে বললো,
: আজ থেকে সোজা পথে চলবি।
পুলিশ সাত চোরকে নিয়ে চলে গেল। আর যুবক সোজা পথ ধরে হাঁটা শুরু করলো। একটুও বাঁকা পথে যাচ্ছে না। সামনে এলো এক তাল গাছ। এখন কি করে। মনে মনে ভাবল এপাশ দিয়ে গিয়ে ওপাশে নামবে। সে নামতে গিয়ে পায়ে ডাগলার বাড়ি খেয়ে ঝুলে গেল। এক লোক ঘোড়া নিয়ে যাচ্ছিল।
: আমাকে সাহায্য কর?
লোকটি ঘোড়া গাছের সাথে বেঁধে রেখে তালগাছে উঠল। হঠাৎ যুবক পা ঝাকা দিল। লোকটি ঝুলে গেল। তারপর ডাগলা ছিড়ে সবাই পড়ে গেল। যুবকের কিছুই হয়নি। ঘোড়াওয়ালা সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে। যুবককে বোতল আর টাকা দিয়ে পাঠালো তেল আনার জন্য। দোকানদার তেল দিলে বোতল ভরে গেল। যুবক বোতল হাতে নিয়ে ভাবছে, বেশী টুকুতো দিল না। যুবক জমিনের মধ্যে তেল ঢেলে রেখে আবার দোকানে গেল। দোকানদার আরেকটু দিল। তেল মাটিতে চুষে নিয়েছে কিন্তু সে এসে কান্না শুরু করলো। হায়! হায়! তেল চুরি হয়ে গেছে।
খুলনা গেজেট/কেএম