প্রথম টেস্ট না খেলা জেমস অ্যান্ডারসন গলে বল হাতে আরও একবার ঝলক দেখালেন। তিনি একাই নিলেন স্বাগতিকদের ৬ উইকেট। তবে শ্রীলঙ্কাও সহজে ছাড়বার নয়, ব্যাট হাতে তারা লড়াই চালিয়ে ইংলিশদের বিরুদ্ধে ভালোই জবাব দিচ্ছে। প্রথম দিন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় দিনে নিরোশান ডিকভেলা আর দিলরুয়ান পেরেরার প্রতিরোধ গড়া ইনিংসে ভর করে ৩৮১ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা।
৩৮ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন এই সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলেননি। দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে ফিরেই ভয়ংকর চেহারায় হাজির এই পেসার। ২৯ ওভার বল করে মাত্র ৪০ রান খরচায় নিয়েছেন ৬ উইকেট।
এই উইকেটগুলোর মধ্যে ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান ম্যাথিউজ আর সেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় চলে যাওয়া ডিকভেলাও। দ্বিতীয় দিনে নিজের ষষ্ঠ ডেলিভারিতেই ম্যাথিউজকে তুলে নেন অ্যান্ডারসন। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৩৮ বলে ১১ বাউন্ডারিতে এই ব্যাটসম্যান করেন ১১০ রান।
তবে ১৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা ডিকভেলা দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও ছিল। অ্যান্ডারসন তাকে দিয়েই নিজের ‘ফাইফার’ পূরণ করেন। ব্যক্তিগত ৯২ রানে মিডঅনে জ্যাক লিচের ক্যাচ হন ডিকভেলা।
তার আগে দিলরুয়ান পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৮৯ রানের লড়াকু এক জুটি গড়েন ডিকভেলা। তাকে ফেরানোর ওভারে এক বল বিরতি দিয়ে সুরাঙ্গা লাকমলকেও তুলে নেন অ্যান্ডারসন।
এরপর বলতে গেলে একাই দলকে টেনে নিয়েছেন পেরেরা। লঙ্কান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি যখন স্যাম কুরানের শিকার হন নামের পাশে তার লেখা ৬৭ রান।
জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই ইংল্যান্ড। একদম ধীরগতিতে শুরু করলেও ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারিয়ে বসেছে সফরকারিরা। দলীয় ৪ রানের মাথায় লাসিথ এম্বুলদানিয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ডম সিবলি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন জনি বেয়ারস্টো। জ্যাক ক্রলি ৫ রানে ব্যাট করছেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন