খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

নাপিত ও ভূত

সুমন বিপ্লব

কোন এক গ্রামের এক নাপিত বৌয়ের উপর রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। যেতে যেতে অনেক দূর চলে গেল। সাথে ছিল একটি আয়না, পাকা পেঁপে ও একটি জীবিত কাক। হঠাৎ নাপিতের সামনে এসে দাঁড়ালো একটি ভুত।

: এঁই আঁমি তোঁর রঁক্ত খাব।
: আগে শক্তি পরীক্ষা হয়ে যাক। কার শক্তি বেশী।
: আঁচ্ছা।
: এই পাথর টিপে রস বের করতো দেখি।
ভুত একটি পাথর খণ্ড নিয়ে চাপ দিল। পাথর ধুলা হয়ে গেল কিন্তু রস বের হল না।
: কই রস বের করতে পারলে না, তো। দ্যাখ আমি বের করছি।
নাপিত পাকা পেঁপে বের করে চাপ দিল। সাথে সাথে রস বের হয়ে গেল।
: দ্যাখলি তো কার শক্তি বেশী। এবার পাথর ছুড়তে হবে। কে বেশী দূরে দিতে পারে।
: ঠিক আছে।
ভুত একটি পাথর হাতে নিয়ে ছুড়ে দিল, কিছু দূর গিয়ে পড়ল। আর নাপিত ব্যাগ থেকে কাক বের করে ছেড়ে দিল। কাক শুধু উড়ে চলতেই থাকলো। ভুত নাপিতের চালাকি বুঝতে পারল না। সে ভয় পেয়ে গেল। এই সুযোগে সে বলল,
: আমি তোমাকে ধরে আমার এই ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখবো।
: আঁমাকে ঢোঁকানো কিঁ এতোঁই সোঁজা?
: আমার ব্যাগে তোমার মত আরও একটি ভুত আছে।
: কই দেখিতো?
নাপিত আয়নাটি বের করে ভুতের হাতে দিল। ভুত হাতে নিয়ে দেখতে পেল সত্যই আর একটি ভুত। ভুত কখনো আয়না দেখেনি। তাই আয়না সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। সে চিৎকার দিয়ে বলল,
: আঁমাকে ধঁরনা তুঁমি যাঁ চাঁইবে তাঁই দিঁবো।
: ঠিক আছে আমার বাড়ি বিল্ডিং করে দিবে।
: তুঁমি বাঁড়ি যাঁও। বাঁড়ি গিঁয়ে সঁব পাঁবে।
নাপিত হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির অভিমুখে রওনা দিল। দূর থেকে দেখতে পেলো বিরাট বিল্ডিং। অথচ এখানে ছিল মাটির ঘর। নাপিতের বউ নাপিতের জন্য অপেক্ষা করছে।
: তুমি কোথায় ছিলে। এসব কি করে হলো। আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।

: ভাত খেয়ে সব বলব।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!