পরিবারে যদি কোনো বয়স্ক ব্যক্তি থাকে তাহলে শীতের সময়টা খুব সাবধানে রাখতে হবে। নয়তো অল্পতেই তাদের কষ্ট বেশি বেড়ে যাবে।
যেভাবে শীতে প্রবীণদের যত্ন নিতে পারেন:
১. এই সময়ে যেসব কারণে বয়স্করা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় তা হচ্ছে, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা শ্বাসনালির প্রদাহ। শীতে ছড়িয়ে পড়া ফ্লু থেকে হতে পারে নিউমোনিয়া কিংবা অ্যাজমা। ঠান্ডা থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। খেয়াল রাখবেন সবসময় যেন তারা পরিমিত শীতবস্ত্র পরেন। বিশেষ করে বুক, কান ও পা ঢেকে রাখতে হবে শীতের কাপড়ে। এ ছাড়া ঘুমানোর সময়, দিনে বা রাতে গলা ও কানে কাপড় কিংবা মাফলার জড়িয়ে রাখে যেন এদিকটাও নজর দিতে হবে।
২. কোনো কারণে যদি আপনার পরিবারের বয়স্ক মানুষটিকে বাইরে নিতে হয়, তাহলে যথেষ্ট পরিমাণে শীতের কাপড় পরিধান নিশ্চিত করুন। খুব বেশি সমস্যা না হলে শীতের দিনে শুধু শুইয়ে-বসিয়ে না রেখে কিছু কিছু হালকা ব্যায়াম যেমন: ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করান এবং হাত-পা নাড়াচড়া করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করুন। এতে করে শরীরে তাপ উৎপন্ন হবে।
৩. শীতে বয়স্কদের ত্বক, ঠোঁট, হাত-পা, নখসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন ক্রিমসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করুন।
৪. শীতের শাকসবজি প্রবীণদের বেশি করে খেতে দিন। গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন, মিনারেল অভাব পূরণ করে এ সময় সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
৫. গরম খাবারের পাশাপাশি গরম পানি খেতে দিন। গরম পানি দিয়ে গোসল, অজু ও অন্যান্য কাজ করতে দিন। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ফলে বাড়ির প্রবীণ মানুষটি আরাম পাবে।
৬. তাঁর ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন। যতটা সম্ভব ঘর গরম রাখুন। এতে শীত কম লাগবে, আরাম অনুভব হবে।
৭. শীতে পানির চাহিদা কম থাকায় বয়স্করা পানি কম খান। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করে। তাই শীতে বয়স্কদের প্রয়োজনীয় পানিসহ কেমিক্যালমুক্ত বিভিন্ন দেশি ফলের রস খেতে বলুন।
খুলনা গেজেট/এনএম