খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সময়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। ফলে, বিভাগে মোট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮৬৬।
শনাক্ত বিবেচনায় বিভাগে সুস্থ হওয়ার হার ৯৫ শতাংশের কিছু বেশি। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা সোমবার (৪ জানুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভাগে রোববার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯২তম দিনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৪৪৫। বিভাগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ। ৩ জুলাই ১০৭তম দিনে এসে বিভাগে রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার অতিক্রম করে। ২৩ জুলাই ১২৭তম দিনে রোগী ১০ হাজার এবং ১২ আগস্ট ১৪৭তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়ায়। ৫ অক্টোবর ২০১তম দিনে শনাক্তের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়ায়। গত ১৮ নভেম্বর ২৪৫তম দিনে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩ হাজার। গত ১২ ডিসেম্বর ২৬৯তম দিনে রোগীর সংখ্যা সাড়ে ২৪ হাজার ছাড়ায়। আজ ৪ জানুয়ারি ২৯২তম দিনে রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৮ জনে দাঁড়ায়।
বিভাগের মধ্যে সাতক্ষীরায় করোনায় একজন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় ১১৫ জন, কুষ্টিয়ায় ৮৬, যশোরে ৫৫, ঝিনাইদহে ৪০, চুয়াডাঙ্গায় ৩৯, সাতক্ষীরায় ৩২, বাগেরহাটে ২৬, নড়াইলে ২০, মাগুরা ও মেহেরপুরে ১৬ জন করে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভাগে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ হাজার ১৯২ জন রোগী শুধু খুলনা জেলায় শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১ হাজার ৩৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৬৪৬, যশোরে ৪ হাজার ৬৪২, ঝিনাইদহে ২ হাজার ২৯২, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ৭৮৩, মাগুরায় ১ হাজার ৫১, মেহেরপুরে ৭৫২, নড়াইলে ১ হাজার ৫২৬ ও সাতক্ষীরায় ১ হাজার ১৫৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা খুলনা গেজেটকে বলেন, খুলনা বিভাগে করোনার সংক্রমণের গতি বাড়ছে। সবাইকে সচেতনতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে সংক্রমণ কমে আসবে।
খুলনা গেজেট / এআর