খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, লবনাক্ততার কারনে দেশীয় প্রজাতির মাছ আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা লোনা পানির মাছ আর চাই না। আমরা মিঠা পানির মাছ চাই। দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তিনি সংশ্লিষ্ঠ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মত এত নদ-নদী ও খাল-বিল আর কোথাও নাই। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব ও অবাধে শাসন এবং পরিবেশগত কারণে অনেক নদী আজ মারা যাচ্ছে। তিনি মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল পূর্বের অবস্থানে ফিরে আনার জন্য বদ্ধ নদ-নদী ও খাল খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানান। মৎস্য ও কৃষি খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বর্তমান সরকার খাদ্য এবং মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এক সময় আমাদের কোরবানী পশুর জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন আর সেই অবস্থা নাই। প্রাণী সম্পদ উৎপাদনেও সরকার সফল হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে মুজিব শতবর্ষ ও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট খুলনার পাইকগাছা লোনাপানি কেন্দ্র আয়োজিত মাছ ও কাঁকড়ার পোনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী। উপ-পরিচালক দেবাশীষ মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরিফুল আলম রুবেল, মতিউর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, শাওন আহমেদ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, চিংড়ী চাষী আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কাজল কান্তি বিশ্বাস, এম এম আজিজুল হাকিম, শেখ জাকারিয়া ও তারক চন্দ্র সানা।
খুলনা গেজেট / এনআইআর