মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য স ম বাবর আলীসহ খুলনার ৪১২ জনের নাম মুক্তিযোদ্ধার যাচাই বাছাই তালিকায়। আগামী ৯ জানুয়ারী তাদের যাচাই বাছাই কমিটির কাছে উপস্থিত হয়ে যুদ্ধের বিবরণসহ মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণাদি জমা দিতে হবে।
প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে জামুকার সুপারিশ বহির্ভূত বেসামরিক গেজেট আকারে প্রকাশিত ব্যক্তিগন উক্ত যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন। যাদের নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত আছে তারা যাচাই বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন। মহানগরী এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা যাচাই বাছাই কমিটির কাছে এবং উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা যারা ভাতা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য স ম বাবর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য এড. সোহরাব আলী সানা, পাইকগাছার জিন্নাত আলী হাওলাদার, সরদার আব্দুল মাজেদ, জিল্লুর রহমান, ডুমুরিয়ার অহেদুর রহমান, কায়সেদ শেখ, দুলাল চন্দ্র পাল, কয়রার আবু হায়দার, মমতাজ উদ্দিন সানা, খুলনার সাবেক মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি, নাগরিক নেতা শেখ আব্দুল কাইয়ুম, নগর সিপিবি নেতা এড. ফিরোজ আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু জাফর, এ এম এম মাহবুবুর রহমান, ইস্কান্দার কবির বাচ্চু, শামছুজ্জামান টিপু, নগর জাসদের সাবেক সভাপতি মো. কায়কোবাদ আলী, ক্রিড়া সংগঠক হাসান রুমী, এড. আ ব ম নূরুল আলম প্রমূখ। বেসামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মহানগরী এলাকায় ৬০ জন, তেরখাদা উপজেলায় ৮৩ জন, পাইকগাছা উপজেলায় ৪৯জন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৪ জন, দাকোপ উপজেলায় ৩৭ জন, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ৩৫ জন করে, কয়রা উপজেলায় ২৫ জন এবং ফুলতলা উপজেলায় ৯ জন।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর, খুলনার উপ পরিচালক খান মোতাহার হোসেন জানান, গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা যারা ভাতা পাচ্ছেন তারাই যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে স ম বাবর আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচিত না হওয়ায় বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হলে আজকে যাচাই বাছাই প্রয়োজন হত না। তিনি যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু জাফর বলেন, দলীয় বিবেচনায় যাচাই বাছাই হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়তে পারে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি