যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুই রোগীর নমুনা পজেটিভ হয়েছে। অর্থাৎ তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যশোরে করোনায় আক্রান্ত ২৩ ব্যক্তির মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারী মারা যান। উপসর্গ নিয়ে এ যাবৎ হাসপাতালে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে পরীক্ষা করে যাদের মধ্যে নয়জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হওয়া মৃত দুই রোগী হলেন মাগুরার শালিখা উপজেলার শালিখা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রেজাউল আলম শিকদার (৬৫) এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন (৬৩)। করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই দশটা ৫০ মিনিটে মারা যান রেজাউল আলম শিকদার। আর কামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয় ২১ জুলাই মঙ্গলবার। মারা যাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল।
ডা. আরিফ আহমেদ আরো জানান, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার পাকাসিয়া গ্রামের বিষ্ণু বিশ্বাসের স্ত্রী মিতুরানি (৩৯) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনার সব উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় হাসপাতালে ভর্তি হন মিতু। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
আরএমও আরো জানান, ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট ৩৩ জন নারী-পুরুষ মারা গেছেন। নমুনা পরীক্ষায় তাদের মধ্যে করোনা পজেটিভ হয়েছে নয়জনের।
খুলনা গেজেট/এনএম