বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ এবার ট্রফির লড়াইয়ে নামবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও জেমকন খুলনা। গ্রুপ পর্ব ও কোয়ায়ালিফায়ারের বৈতরণী পার হয়ে ট্রফির লড়াইয়ে টিকে আছে দল দুটি। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। গ্রুপ পর্ব ও কোয়ালিফায়ারের তিন দেখায় দুটি ম্যাচে জেতে মোহাম্মদ মিথুনের চট্টগ্রাম আর একটি ম্যাচে জেতে মাহমুদউল্লাহর জেমকন খুলনা।
গ্রুপ পর্বের ৮ ম্যাচে জয় ও হার চারটি করে হলেও খুলনা প্রথম সুযোগেই ফাইনালে চলে যায়। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বের সেরা দল ছিল চট্টগ্রাম। আগের দুই দেখায় খুলনাকে হারালেও প্রথম কোয়ালিফায়ারে এসে তারা হেরে যায়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকাকে হারিয়ে তবে নিশ্চিত করে ফাইনাল।
মাঠের পারফর্মেন্স কিংবা হার-জিতের হিসেবে এগিয়ে চট্টগ্রাম। লিটন দাস কিংবা মোস্তাফিজুর আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। অন্যদিকে তারকাবহুল অভিজ্ঞ দল খুলনা জ্বলে উঠতে পারেনি গ্রুপ পর্বে। তবে কোয়লিফায়ারে এসে চমকে দিয়েছে দলটি। জ্বলে উঠেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। তবে ফাইনালে সাকিবকে পাচ্ছে না খুলনা।
কাগজে-কলমে যারাই এগিয়ে থাকুক পার্থক্য গড়ে দেবে মাঠের পারফর্ম্যান্স। ‘ফাইনাল খেলায় আমার মনে হয় এগিয়ে রাখার বিষয়টা ওরকম ম্যাটার করেনা। কারণ ফাইনালে অনেক প্রেসার সিচুয়েশন থাকে, অনেক ক্রাঞ্চ সিচুয়েশন থাকে। এই জিনিসগুলো যেই টিম ভালো হ্যান্ডেল করতে পারবে আমি মনে করি যে তারাই এডভান্টেজে থাকবে’-বলছিলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
একই সুর চট্টগ্রামের কোচ সালাউদ্দিনেরও। তবে অভিজ্ঞতায় তিনি এগিয়ে রাখছেন খুলনাকে। তিনি বলেন, ‘আমি যতবারই চ্যাম্পিয়ন হই, সেটা কিন্তু কোন লাভ নাই আসলে। কারণ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে কতগুলো বিষয় ডিপেন্ড করে। যারা ফাইনালে আসছে, দুই দলেই কিন্তু বেশিরভাগই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। এখানে কিন্তু খুব বেশি তরুণ খেলোয়াড় পাবেন না। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি হচ্ছে এক্সপেরিয়েন্সড প্লেয়ারের খেলা। মাঠের ভিতরে যাদের যত ভালো মাথা থাকবে, তারাই ম্যাচ জিতবে। সেদিক দিয়ে খুলনা অনেক এগিয়ে আছে। কারণ তাদের অনেকগুলো বড় বড় ক্রিকেটার আছে।’
খুলনা গেজেট/এমএম