মঙ্গলবার । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

১৭ ডিসেম্বর খুলনার মাটিতে বিজয়ের পতাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় আত্মসমর্পনের জন্য পাকিস্তানী বাহিনী এক জায়গায় জমা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে-দৌলতপুর।
১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় আত্মসমর্পনের জন্য পাকিস্তানী বাহিনী এক জায়গায় জমা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে-দৌলতপুর।

১৭ ডিসেম্বর একাত্তর, শুক্রবার প্রত্যুষে গল্লামারীস্থ রেডিও পাকিস্তান, খুলনা কেন্দ্র, লাইন্স স্কুলে গোলাগুলি থেমে যায়। এসব সেনাছাউনী ছেড়ে পাকিস্তানি বাহিনী খুলনা সার্কিট হাউসে আশ্রয় নেয়। সকালে শিরোমণি সেনাছাউনীর সদস্যরা আত্মসর্মপণে রাজি হয়। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে সার্কিট হাউসের পাশে টিএন্ডটি ওয়ারলেস টাওয়ার বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিটার টাওয়ার ধ্বংস ও স্টেট ব্যাংকের কাগুজে নোট পাকিস্তানি সেনারা পুড়িয়ে ফেলে।

১৭ ডিসেম্বর শিপইয়ার্ডে নৌ-কমান্ডো খলিলুর রহমানের হাতে খুলনা জেলাখানায় বন্দি পাকিস্তানী বাহিনীর কয়েকজন।

সকাল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী বেশে খুলনা শহরে প্রবেশ করে। শ’ শ’ জনতার সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠ গগণবিদারী শ্লোগান উচ্চারিত হয়। ‘জয় বাংলা’ স্বাধীনতা এনেছি শেখ মুজিবকে আনবো। সকাল নয়টা নাগাদ আইডব্লিউটিএ ভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তা এটিএম আমিনুল ইসলাম রাজাকারদের গুলিতে শহীদ হন। তিনি খুলনার শেষ শহীদ।

শিরোমাণি থেকে মিত্র বাহিনীর অধিনায়ক মেজর জেনারেল দলবীর সিং, অষ্টম সেক্টর কমান্ডার মেজর আবুল মনজুর, নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিল নিউজ প্রিন্ট মিলে এসে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার হায়াত খানকে আত্মসর্মপণ করান। দুপুর দেড়টা নাগাদ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা আত্মসর্মপন করে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন