বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম ৩ ম্যাচ হেরে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ছিল বেক্সিমকো ঢাকা। শেষ চার নিশ্চিত করতে অন্তত ৪টিতেই জিততে হতো মুশফিকুর রহিমের দলকে। টেবিলের তলানি থেকে তিন ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিতের দ্বারপ্রান্তে থাকা দলটি বৃহস্পতিবার জেমকন খুলনাকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পেয়েছে। শক্তিশালী খুলনাকে ২০ রানে হারিয়েছে দলটি।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে রান তারা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৬১ রান পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ’র দল।
দ্বিতীয় ওভারেই রবিউল ইসলামের বলে জাকির হাসান ফেরেন ১ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা সাকিব আল হাসান এদিন শুরুটা ইতিবাচক মনোভাবেই করেছিলেন। কিন্তু রবিউলের ওভারে মাত্র ৮ রানে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জহুরুল ইসলাম মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। ২৩ রান করে মুক্তার আলীর বলে সাব্বিরের হাতে ফেরেন খুলনা দলপতি। এরপর গেল ম্যাচের মতো এক রান করেই বিদায় নেন মাশরাফিও। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া জহুরুল ইসলামও ফেরেন ৫৩ রানে।
রবিউল ইসলামের শিকার হয়ে দলীয় ১০০’র আগে আরিফুল ফিরলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় খুলনার জন্য। সেখান থেকে নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা লড়াই করলেও দলকে ১৫৯ পর্যন্তই নিয়ে যেতে পেরেছেন। ২৭ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন রবিউল। শেষ ওভারেও তুলে নেন ২টি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। সাব্বির রহমান করেন ৫৬ রান। নাঈম শেখের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। শহিদুল ইসলাম নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা- ১৭৯/৭ (২০ ওভার) (সাব্বির ৫৬, নাঈম ৩৬) (শহিদুল ২/৩১)
খুলনা- ১৫৯ অল আউট ১৯.৩ ওভার (জহুরুল ৫৩) (রবিউল ৫/২৭)
বেক্সিমকো ঢাকা- মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, আকবর আলী, ইয়াসির আলী রাব্বি, সাব্বির রহমান, আল আমিন জুনিয়র, মুক্তার আলী, শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম।
জেমকন খুলনা- সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মাশরাফি বিন মর্তুজা, হাসান মাহমুদ, শামিম পাটুয়ারি, আরিফুল হক, শুভাগত হোম, শহিদুল ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, জহুরুল ইসলাম।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান স্কোরবোর্ডে তোলে ঢাকা।