বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের ১৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে ২২০ রানের পাহাড় গড়েছিল রাজশাহী। তবে আনিসুল ইসলাম ইমনের সেঞ্চুরিতে এই ম্যাচটি দাপটের সঙ্গে জিতেছে বরিশাল।
পরবর্তী রাউন্ডে যেতে চাইলে জয়ের বিকল্প ছিল না বরিশালের সামনে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলটির সামনে বড় লক্ষ্য বেঁধে দেয় রাজশাহী। বরিহালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন সাইফ হাসান ও তামিম ইকবাল। দুজনেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন।
২৭ রান করে সাইফ ফিরলে ক্রিজে আসেন ইমন। একেরপর এক চার-ছক্কায় ম্যাচ ক্রমেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে থাকেন তিনি। অন্য প্রান্তে তামিমও ছিলেন মারমুখী।
ব্যক্তিগত ৫৩ রানে তামিম আউট হলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল ছিলেন ইমন। আনিসুল ইসলামকে চার মেরে একইসঙ্গে নিজের সেঞ্চুরি ও দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তখনও বাকি ছিল ১১ বল। অন্য প্রান্তে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ ২০৫ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙে দিল বরিশাল।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রাজশাহীর হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন শান্ত-ইমন। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ১৩১ রান। ৬৯ রান করে ইমন আউট হলে রনি তালুকদারের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। রনি ফেরেন ১৮ করে।
এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই সেভাবে খেলতে পারেননি। ব্যতিক্রম ছিলেন শান্ত। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝেও মেরে খেলতে থাকেন তিনি। তাসকিন আহমেদকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫২ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১০৯ রান করেন তিনি।
শেষ ওভারে এসে হ্যাটট্রিকের দেখা পান বরিশালের বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বী। তিনি সব মিলিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া সুমন খান নেন ২ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এএমআর