হেমন্তের শীতল হাওয়া, কুয়াশার চাদরে ঢাকা সকাল আর রাতে লেপ-কাঁথার লুকোচুরি জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে। তাইতো মানুষ ছুটছে গরম কাপড়ের খোঁজে। অগ্রহায়নের শুরুতে অভয়নগরে জমতে শুরু করেছে পুরাতন গরম কাপড়ের বাজার। শীতের আগমন বার্তায় গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। রাতে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গরম কাপড় কেনা-বেচার ব্যস্ততা।
গত বছরের তুলনায় এ বছর গরম কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা সাধারণ ছুটছেন অল্প দামের ফুটপাতের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে অল্প আয়ের মানুষ ভিড় করছেন এসব দোকানে। শুধু অল্প আয়ের মানুষই নয়, বিকাল থেকে গভীর রাত অবধি বিভিন্ন শ্রেণির লোকদেরকে দেখা যায় এই পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করতে। অল্প টাকায় ভালো কাপড় কেনার আশায় তারা প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে।
অভয়নগরে ইনস্টিটিউট মাঠে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বসেছে অনেকগুলো দোকান। তাছাড়া স্থায়ীভাবে ৮ থেকে ১০ টি দোকানে সারা বছরই বিক্রি হয় অল্প দামে পুরাতন কাপড়। নভেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণ পুরাতন ও গরম কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের গরম কাপড়ের পায়জামা, সোয়েটার, টুপি, মহিলাদের জন্য সোয়েটার, কটি, কোট, টাইলস, প্লাজু, গেঞ্জি, বুক চিরা ও গোল গলা সোয়েটার, হাত ও পায়ের মোজাসহ হরেক রকমের গরম কাপড়। পুরুষদের জন্য সোয়েটার, ট্রাউজার, কটি, কোট, প্যান্ট, গেঞ্জি, টুপি, মাফলার, মোজা, কানটুপি আর চাদর ইত্যাদি বেশি পরিমাণে বিক্রি হয়। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়ে যায়।
শিল্প ও বাণিজ্য নগরী নওয়াপাড়াতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোক এসে এখানে কাজের সুবিধার্থে বসবাস করে। ঘাট শ্রমিক এবং এলাকার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা এই ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় করে থাকেন। ইনস্টিটিউটের পুরাতন মার্কেটে ক্রেতার চাহিদার তুলনায় দোকান কম হওয়ায় সারাক্ষণ ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে অল্প আয়ের মানুষ যারা দিন এনে দিন খায় তাদের একমাত্র ভরসা ইনস্টিটিউটের এই মার্কেটে দোকান গুলো।
দোকান মালিক মিঠু মোল্লা জানান, যত শীত বাড়বে তত বেশি বেচাকেনা হবে, শৈত্য প্রবাহ নামলে তখন বেচাকেনা ধুম পড়ে যায়।
চেঙ্গুটিয়ার ভ্যানচালক আব্দুল্লাহ এবং গুয়াখোলার ইজিবাইক চালক আব্দুর রহিম বলেন, ইনস্টিটিউট মার্কেট থেকে অল্প দামে ভালো গরম কাপড় কিনতে পারি বলেই তো আমরা বেঁচে আছি। অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে পেরে অল্প আয়ের মানুষেরাও খুশি হয় এবং তাদের চাহিদা পূরণ করতে পেরে বিক্রেতারাও একদিকে যেমন ব্যাবসা করতে পারেন অপরদিকে শীতবস্ত্র ও গরম কাপড় বিক্রি করে ক্রেতা চাহিদা মেটাতে পারেন।
খুলনা গেজেট/এনএম

