বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-ভাঙচুর

গেজেট প্রতিবেদন

মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা–পাল্টা হামলায় ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়ন ঘোষণার পরদিনই এ ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর, অফিসে আগুন আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকা, সব মিলিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থকদের মধ্যে এ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমজাদ হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মিল্টন পক্ষের বিরুদ্ধে। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিএনপির দুই কার্যালয় ঘিরে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় দুই পক্ষ অফিসের ভেতরের আসবাবপত্র বের করে আগুন দেয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১২টি মোটরসাইকেল।

মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেছেন, মনোনয়ন বঞ্চিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালসহ তার ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। হামলায় বিএনপির অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সাবেক সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের পর হামলার পাল্টা জবাবে বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনের অফিস ভাঙচুর করেন আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা। তবে দুই গ্রুপের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রিয়।

আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেছেন প্রথমে মিল্টনের সমর্থকরা একতরফাভাবে হামলা করে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

এদিকে মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু জানিয়েছেন, আমজাদ হোসেনের লোকজন তাদের অফিস ভাঙচুর করেছে।

গাংনী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, গতকাল রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেহেরপুর-২ আসনে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মিল্টনের সমর্থকরা সোমবার রাতেই শহরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন