মঙ্গলবার । ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২

খিচুড়ি খাওয়া ভালো নাকি খারাপ, জানালেন পুষ্টিবিদ

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় খাবার খিচুড়ি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে বাঙালির রান্নাঘরে খিচুড়ির গন্ধ মানেই উৎসবের আবহ। তবে সুস্বাদু এই খাবারটি সত্যিই কি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী? পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ জানিয়েছেন, খিচুড়ি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এবং স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

খিচুড়ির উপকারিতা: হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায় পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ বলেন, খিচুড়িকে কেবল ডাল-ভাতের মিশ্রণ ভাবলে ভুল হবে। আয়ুর্বেদে এটি অন্যতম শক্তিশালী ‘হিলিং ফুড’ হিসেবে বিবেচিত। এটি নরম, উষ্ণ এবং শরীরের ভেতরকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। মানুষের শরীরের তিন দোষ—বাত, পিত্ত ও কফের ভারসাম্য রক্ষায় খিচুড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সহজপাচ্য খাবার: মুগডাল ও চাল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি খুব সহজে হজম হয়। পেটের সমস্যা বা দুর্বল হজমশক্তির সময় খিচুড়ি দ্রুত শক্তি দেয়, কিন্তু পেটে চাপ ফেলে না।

ডিটক্সে সহায়ক: ঘি, আদা, হলুদ, জিরা দিয়ে রান্না করা গরম খিচুড়ি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। নিয়মিত খেলে শরীর হালকা লাগে এবং পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর: ডালে থাকে প্রোটিন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট, আর ঘি হজমে সহায়তা করে। অসুস্থতার পর খিচুড়ি দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করে। চাইলে মৌসুমি সবজি বা হার্বস যোগ করলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।

খিচুড়িতেই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির বড় অংশ পাওয়া যায়। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে, টক্সিন দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বাইরে থেকে কিনে নয়, ঘরে তৈরি খিচুড়িই শ্রেয়।

খিচুড়ি কোনো আধুনিক ট্রেন্ড নয় বরং প্রাচীন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় নিরীক্ষিত একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। পেটের সমস্যা, ক্লান্তি কিংবা বিশ্রামের দিনে খিচুড়ি হতে পারে উৎকৃষ্ট পছন্দ। তাই বৃষ্টি হোক বা রোদ, পরিবার নিয়ে পুষ্টিতে ভরপুর খিচুড়ি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন