খুলনা মহানগরীর ব্যস্ততম গল্লামারী মোড়ে দৃষ্টিনন্দন স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ৩০ মার্চ। নির্ধারিত সময়ে দুটি ব্রিজের একটির কাজও শেষ হয়নি। সেতুর স্টিল স্ট্রাকচার যন্ত্রাংশ তৈরিসহ এ পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। গত ১৫ মাসে সেতুর কাজে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। সেতুর কনসালটেন্ট ভারতের সন্দীপ গুহানি এন্ড এসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেড ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কন্ট্রাক্টরস।
এদিকে নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যানবাহনের চালক এবং পথচারীদের দুর্ভোগ যেন জেঁকে বসেছে। প্রতিদিনই যানজটে নাকাল হচ্ছে মানুষ। নষ্ট হচ্ছে শত শত কর্মঘণ্টা।
সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর গল্লামারী ময়ূর নদীর উপর দৃষ্টিনন্দন স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজ এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে। চুক্তি অনুযায়ী পাশাপাশি দু’টি সেতু এবং ৭৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সেতু দুটির দৈর্ঘ্য ৬৮ দশমিক ৭ মিটার, প্রস্থ ২৩ মিটার এবং উচ্চতা হবে ৪ মিটার। সেতু হবে দুই লেন বিশিষ্ট। কার্যাদেশ অনুযায়ী দেড় বছরের মধ্যে সেতু দু’টির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় মেয়াদে সময় বাড়ানো হয় এক বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

সূত্রটি জানায়, সওজ থেকে কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৮ অক্টোবর থেকে পুরানো সেতু ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। এরপর ২৩ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেতুর মূল অংশ স্টিল স্ট্রাকচারের যন্ত্রাংশের আমদানি শেষ পর্যায়ে। ঠিকাদারের চট্টগ্রাম কারখানায় স্টিলের যন্ত্রাংশ তৈরীর কাজ চলমান। পার্ট বাই পার্ট স্টিলের যন্ত্রাংশ কারখানা থেকে আসতে শুরু করেছে। সেতুর পার্শ্ববর্তী ইয়ার্ডে সেগুলো মজুদ রাখা হয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সেতুর স্টিল স্ট্রাকচারাল যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
সেতু বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুল হক খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘তৈরিকৃত স্টিল স্ট্রাকচারের এক তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে কাজের সাইটে চলে এসেছে। প্রতিদিনই মালামাল আসছে। আশা করি ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যে প্রথমটি’র নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয়টি’র নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দ্বন্দ্ব, ব্রিজ নির্মাণের শুরুতে নকশায় কিছুটা ত্রুটি, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজ নির্মাণে পূর্বাভিজ্ঞতা না থাকা, সব মিলিয়ে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম
								
    
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
