সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য সীমান্তের এক বাড়িতে এনে রাখা এক নারীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার তুলুইগাছা সীমান্তের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির হাতে আটক দুই পাচারকারী হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আবুল কালাম (৭৪) ও আবুল কালামের ছেলে ইমরান হোসেন (২৩)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ তলুইগাছা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী এক নারীকে ভারতে পাচার করা হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে সেতু আক্তার নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেতু আক্তারকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে রাখার অভিযোগে বাড়ির মালিক আবুল কালাম ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।
উদ্ধারকৃত সেতু আক্তার নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার দাশেরডাঙ্গা গ্রামের জিয়া শেকের মেয়ে।
বিজিবির সূত্র আরও জানায়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি নারী এবং ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মানবপাচারকারী মো. আবুল কালাম ও তার ছেলে মো. ইমরান হোসেন এবং মানবপাচার চক্রের আরও ১৫ জন পলাতক আসামির সহায়তায় সেতু আক্তারকে ভারতে পাচার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতায় তারা পাচার করতে না পেরে সুযোগের অপেক্ষায় বাড়িতে এনে রাখে।
ধৃত বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ও ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত পলাতক ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে

