বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২
মৃত পশুর চামড়া সংগ্রহ না করার পরামর্শ প্রাণী দপ্তরের

অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হচ্ছে না ভারত সীমান্তের গাংনীর মাটি থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরে গাংনী অ্যানথ্রাক্স উপদ্রুত উপজেলা হিসেবে চিহ্নিত, প্রাণী অধিদপ্তরে। প্রতিবছর এ ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। এ রোগের জীবাণু শিকড় গেড়ে বসেছে। মৃত পশুর চাপা দেওয়া গর্তের মাটি থেকে এ জীবাণু নির্মূল হচ্ছে না। মৃত পশুর চামড়া সংগ্রহ না করার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, “এর জীবাণু মাটিতে একশ’ বছরের মতো টিকে থাকতে পারে। কচি বা ছোট ঘাস খাওয়ার সময় গরু, ছাগল, মহিষের মুখে মাটিও চলে যায়, সঙ্গে জীবাণু। এরপর এ পশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত প্রাণীর মাংস, রক্ত, হাড় বা পশমের সংস্পর্শে এলে মানুষের ঝুঁকি দেখা দেয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পরীক্ষা-নীরীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে এ উপজেলার মাটিতে এ জীবাণু দীর্ঘদিনের। কাজীপুর, তেতুলবাড়িয়া ও কাথুলি ইউনিয়নে এ রোগ দেখা দেওয়ায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জীবাণুর বিস্তার রোধে এ উপজেলায় ৫০ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, উপজেলা, জেলা ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে জনসচেতনতা বাড়িয়েছে। এখানকার মাটি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে মৃত পশু গর্তে চাপা দেওয়ার পরও জীবাণু নষ্ট হয়নি।

প্রাণিসম্পদ খুলনা বিভাগীয় কার্যালায়ের দেওয়া তথ্যে উল্লিখিত উপজেলার পাঁচটি ছাগল এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ও মীরপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার গবাদি পকুকে এর আওতায় আনা হয়েছে। বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডাঃ গোলাম হায়দারের ভাষ্য, সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত এ রোগ শনাক্ত হয়নি। বিভাগে ওষুধের কোনো সংকট নেই। এ রোগে আক্রান্ত পশুর চামড়া সংগ্রহ না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের আফাজউদ্দিন মাংস ব্যবসায়ী। রোগাক্রান্ত গরুর মাংস নাড়াচাড়া করা কারণে তার শরীরে প্রথমে ক্ষত সৃষ্টি হয়।

একই গ্রামের আক্কাস আলী জানান, “গরুর মাংস খাওয়ার পর তার শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ফারুক হোসেন জানান, “এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই গ্রামে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিলে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর থেকে যায়, যা বিপজ্জনক।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন