বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

ঝিনাইদহ তেলে পোড়া মবিল মেশানোয় কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ

প্রসিদ্ধ সততা অয়েল মিলের সরিষার তেলে শত্রুতাবশত পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. মাহবুব আলম সোমবার (২০ অক্টোবর) এই রায় দেয়।

তিনি শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা মৃত তোজাম বিশ্বাসের ছেলে ও নতুন হাটখোলার সোনালি তোতা অয়েল মিলের কর্মচারী।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্য রাতে ঝিনাইদহের হামদস্থ শেরে বাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আঃ মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে ব্যবসায়ী নওশের আলীকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সততা অয়েল মিলসের ১২ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেই এই আসামি আশরাফসহ আরও পাঁচজন। ঐ সময় ঘটনাটি সারা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নওশের আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হলে, মামলার আইও এসআই আজিজুর রহমান তদন্ত করে ৭জনকে আসামি করে অভিযোগ পত্র দেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ২০২১ সালে হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান। ১৪ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ মামলার রায় প্রদান করেছেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। রায়ে তিনি স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪ এর ২৫(গ) ১(ক) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামিকে যাবজ্জীবন (১৪ বছর) কারাদন্ড দিয়েছেন।

মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর ছেলে সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট। তবে মূল পরিকল্পনাকারী অর্থদাতা শেরে বাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেক সহ-সহযোগী আসামিরা খালাস পেয়েছেন বলে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন অন্যান্য আসামিদেরও ছাড় দেয়া হবেনা, তাদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন