বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

ট্রাইব্যুনালে ১৭টি ভিডিওতে ফুটে উঠলো আন্দোলন দমনে নৃশংসতার চিত্র

গেজেট প্রতিবেদন

জুলাই আগস্টের আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে আন্দোলনকারীদের উপর বর্বর হামলার ১৭টি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এতে, আন্দোলন কারীদের উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি, গ্যাস-গান, টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ফুটে উঠেছে।

এছাড়াও, নাবালক বালককে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা মাটিতে ফেলে কিল, ঘুসি ও লাথি মারার চিত্র ফুটে উঠে। আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা ও হত্যার পর লাশগুলোকে পুড়িয়ে দেয়ার মতো নৃশংসতার চিত্র ফুটে উঠে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা

মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর এ মামলার সর্বশেষ সাক্ষী। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দ করা ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বেলা সোয়া ১২টা থেকে বিটিভিতে সম্প্রচার করা হয় এসব দৃশ্য।

এর আগে, ২৪ই সেপ্টেম্বর এ মামলার ২২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই দিন সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। তদন্তকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ ও তিনটি মোবাইল নম্বরের সিডিআর বা কল ডিটেইল রেকর্ড জব্দ করেন তানভীর জোহা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনি পাঁচটি অডিও কথোপকথন সম্বলিত তিনটি সিডি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। পরে সেসব ফোনালাপও ট্রাইব্যুনালে বাজিয়ে শোনানো হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন