বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়াতে ডিবি কার্যালয়ে এনসিপি নেতা ও ববির ছাত্রদল কর্মীরা

ববি প্রতিনিধি

বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) কার্যালয় থেকে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রদল কর্মী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বিরুদ্ধে। আটক ব্যক্তিকে নির্দোষ দাবি করে তারা সারারাত ডিবি কার্যালয়ে অবস্থান করেন। যদিও ডিবি কর্তৃপক্ষ তাদের কথায় কর্ণপাত না করে ওই ব্যবসায়ীকে থানায় হস্তান্তর করে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন স্বজল, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মিথুন হাসান এবং এনসিপির বরিশাল জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক এম এম সাইফুল মুন্সি।

জানা গেছে, ডিবি পুলিশের একটি দল নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৪২ পিস ইয়াবাসহ নজরুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। রাত ১টার দিকে ইব্রাহিম হোসেন স্বজল, মো. মিথুন হাসান এবং এম এম সাইফুল মুন্সি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে নজরুলের মুক্তির দাবি জানান। এসময় তারা নিজেদের ছাত্রদল নেতা ও এনসিপি নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। ডিবি পুলিশ নজরুলকে ছেড়ে দিতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। অভিযুক্তরা ডিবি প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর তারা সারারাত ডিবি কার্যালয়ে অবস্থান করেও নজরুলকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হন। পরদিন সকালে ডিবি ওই মাদক ব্যবসায়ীকে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে ছাত্রদল কর্মী ইব্রাহিম হোসেন স্বজল জানান, এনসিপি নেতা সাইফুল মুন্সির কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের জানিয়েছিলেন, তার এক ভাইকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে।

স্বজল আরও জানান, ডিবিতে গিয়ে তারা নিজেদের ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিলেও কোনো ধরনের হুমকি দেননি।

অপর অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী মো. মিথুন হাসান এবং এনসিপি নেতা এম এম সাইফুল মুন্সির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসআই সঞ্জয় কুমার বলেন, “১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নজরুলকে মাদকসহ আটক করে আমাদের অফিসে আনা হয়। রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এবং এনসিপির সাইফুল মুন্সি নজরুলকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আসেন। আমরা রাজি না হওয়ায় তারা সারারাত ডিবি অফিসে ছিলেন এবং সকালে চলে যান।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন